আমেরিকায় প্রকাশিত হল ভারতীয় লেখকের বই, আর সারাবিশ্বে হৈচৈ পড়ে গেল। আমি ১৯৮৮ সালের কথা বলছি। লেখকের নাম সালমান রুশদি। বইটির নাম স্যাটানিক ভার্সেস। যার বাংলা মানে, শয়তানের বাণী। বইটি প্রকাশিত হতেই মুসলিম বিশ্বের মৌলবাদীরা সক্রিয় প্রতিবাদ করেন। এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনি ১৯৮৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সালমান রুশদিকে হত্যার ফতোয়া জারি করেন। এই ফতোয়া প্রায় দশ বছর, মানে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কার্যকরী ছিল। এটি ছিল সালমান রুশদির চতুর্থ উপন্যাস। যা ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে।
বইটি প্রকাশের পর বিভিন্ন সময়ে নানান দেশে ধর্মীয় সঙ্ঘর্ষ ও সংঘাতের ফলে প্রায় ৫০ জন মানুষের প্রাণ নাশ হয়। উপন্যাসের জাপানি ভাষার অনুবাদককে মৌলবাদীরা ছুরির আঘাতে মেরে ফেলেন। ইতালীয় ভাষার অনুবাদককেও আক্রমণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর ১৯৯৩ সালে তুরস্কে তুর্কিভাষার অনুবাদককে মৌলবাদীরা একটি হোটেলে ঘিরে ফেলেন, এবং আগুন জ্বালিয়ে দেন। হোটেলে আচমকা এই হামলায় ৩৭ জন মানুষ নিহত হন। কিন্তু তুর্কি ভাষার অনুবাদক আজিজ নেসিন আশ্চর্য জনকভাবে বেঁচে যান।
সালমান রুশদি ১৯ জুন ১৯৪৭ সালে মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। উপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক হিসেবেই উনি পরিচিত। ২০০০ সালের পর থেকে রুশদি মূলত নিউ ইয়র্ক সিটির ইউনিয়ন স্কোয়ার এলাকায় বাস করেন। ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় অবস্থিত ইমোরি ইউনিভার্সিটিতে ডিস্টিংগুইশড রাইটার ইন রেসিডেন্স হিসেবে ৫ বছরের জন্য কাজ শুরু করেন। ২০০৮ সালের মে মাসে তাকে আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস এন্ড লেটার্স এর একজন সম্মানসূচক বিদেশী সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন