খোলাচুলে খোলাসা : শান্তা কর রায়

শান্তা কর রায়

খোলাচুলে খোলাসা

আবেগহীন  মানুষ অক্লান্ত দৌড় উপেক্ষা করে ছুটছে, আচমকা নিত্য সঞ্জীবনীর মতো  জীবনে এলো প্রেম । সর্বাগ্রে মাথায় এলো মন, একলাফে সব ভালোলাগাটুকু শুষে নিয়ে অমর হওয়ার চেষ্টায় ভাটা পড়লো -- যখন সে জানতে পারলো প্রতিপক্ষ  স্বার্থপর । চালাকিতে সিদ্ধহস্ত নাকাল হয়ে সংবহন বিদ্যা আয়ত্ত করার জন্য সাধনায় বসলো । আসলে বহুরূপী  সাজার ইচ্ছে জন্মাবধি ছিল,মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করার কৌশল গোলপাতা তৈরির কারখানার চারপাশটা ছেয়ে ফেললো । এক অদ্ভুত রকমফেরে প্রায় গিরগিটির মতো কিছু পেল,আর ছ'জোড়া সজারু । সবাইকে বশ করে নিজের ইচ্ছেমত পরিচালিত করতো আর সময়মত দুচোখের দৃষ্টি ঘোরাত ।

সব্যসাচীর মতো আনন্দে আটখানা হয়ে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকা আকাশ থেকে উড়তে উড়তে উল্কাপাত দেখত । ধারাভাষ্য নিজেই করতো, একসময় ঘুমিয়ে পড়ার ছলে অরণ্য মাপত । এই নেশায় আপোষহীন সে স্বপ্নভঙ্গ ব্যাপারটা সহ্যকরণ বিদ্যা আয়ত্ত করলো । হসন্ত দুপুরবেলা পুড়তে পুড়তে শ্রাব্যতায় ভাসছিল, ভীষণ রকমের ভালোলাগা কাজ করছিল দুহাতে আর সেজন্যই ওরপক্ষে আগামীকালকে অরাজনৈতিক ভাবা সহজ ছিল । ছাদ থেকে কার্নিশ ধরে হাঁটার সময় এর আগেও এরকম উপলব্ধি হয়েছিল । অক্ষম আর অজ্ঞ জিভছোলা ব্যবহার করতে পারে না,অথচ আলো জ্বলছে দুচোখে । ঢেকে যাচ্ছে বাঁশবন,নিঃসন্দেহে ঢেকে দিতে পারে আকাশ, অবান্তর বিষয়ের ভিতর হারিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট । এখানে শিল্প কুশলতা মানে প্রশংসিত ন্যাকামি, বিষয়াদি পঞ্চম স্তরে যাওয়ার আগে রোবটিক্স ডিউটি ।

এরমধ্যে সম্মানিত হচ্ছে বিরোধিতা, তাকগুলো ভরে উঠছে অনর্থক ভালোলাগায়,প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে গিয়ে প্রশ্নবোধক শিরোনামে উঠে আসছে অধিবাস্তব । একটা নদী স্রোত হারিয়েছে,আর তাই বিষয়টি নিষিদ্ধ, তত্ত্বগত আক্রমণ এখানে চলে কিনা সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে । মুষ্টি প্রত্যাখ্যান করার সাহসে নিজেকে তাত্ত্বিক ভাবে আর তখনি চারদিকস্থ শ্যাওলার বেধড়ক আক্রমণ উপেক্ষা করার শক্তি হারায় । আন্দোলিত হাওয়ায় দুলতে দুলতে ভাবে জংগল দাঁড়িয়ে যাবে ইশারায়,কিন্তু কোনোটাই যখন হওয়ার সম্ভাবনা নেই অনন্তের ওড়া পাথেয় করে দিব্বি এ এক অগ্রসৃতি ।

পরিবহনে গার্ডের ভুমিকা কি?গভীর হয়নি রাত, মফস্বলে ছুটছে ওলারা,মধ্যবিত্তের পকেট রিজার্ভ অটোর দিকে-যেতে পারেনা ইতিমধ্যে এপ্রিল ফুল করেছে অফিস এবং অবশ্যই বাস সার্ভিস। সুযোগ নিচ্ছেন কিছু পরিবহন, আপনারা বলুন সাধারণ মানুষ রাত ১০ টা বাজলে বাড়ি ফিরবে কিভাবে? 

অরণ্য তার বউকে কসাই দিয়ে কাটিয়ে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার সময় নিজের গায়ের রঙ-এর কথা ভাবলেও নিজের শিশু সন্তানের কথা ভাবেনি। আবার নীলের বউটা ছেলে মেয়ের পিলপিলে ভিড়ের বরের সংগে কথা বলার সময়টুকুও পায়না,দরজা বন্ধ হয় আদিম খেলার শেষে আবার পেট ভারি হয়,বাকি বছরের পাঁচ মাস কাজের মেয়ে ভরসা । প্রতিবাদ করা মানা,পাহাড়ে চললাম, এখানে কিছু হবেনা,এখানে গাছকে দিয়েও মিথ্যাচার করায় মানুষ ।
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.