মে দিবস
ঋদেনদিক মিত্রো
এসো, সভ্যতার প্রথম থেকেই করি শুরু,
গুহাবাসী মানুষেরা পরপর
আবিষ্কার করলো আগুন হঠাৎ কখন,
ভেবে দেখো সেই মুহূর্ত টা,
ওদের চোখের বিস্ময় ছিলো কেমন তখন,
কল্পনা অপরাধ নয়,
এটি হোলো মানুষের মানুষ-পরিচয়,
ওরা পাহাড়ের গায়ে ছবি এঁকে-এঁকে
মনের কথাটা বোঝাতে গিয়ে
সৃষ্টি করলো ভাষা--
হাতে তৈরি চিহ্নেই রূপ পেলো কণ্ঠস্বর,
আগুন আর ভাষা পাশাপাশি এক হয়ে
এগিয়ে নিয়ে চললো মানুষকে পরপর,
কী ভাবে যেন জন্ম নিলো চাকা
কোনো একদিন,
এইবার আগুন, ভাষা ও চাকা এক হয়ে
তৈরী করলো ছোট্ট একটি কথা,
সেটি ছোট্ট একটি শব্দ--- সভ্যতা,
এই একটি শব্দ দিয়ে মূল্য সূচিত হোলো---
সমস্ত মহাবিশ্বের,
ছোট্ট একটি শব্দ --- কী বিরাট মানে এর !
যে-শব্দ স্বাধীন ও নিরলস মুক্ত যোদ্ধা,
এই একটি শব্দের
ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে
প্রেম, স্নেহ আর শ্রদ্ধা,
সেই সাথে বেরিয়ে আসে
আরো কতো কী যে !
কল্পনা, বাস্তব, ন্যায়, অন্যায়, প্রতিবাদ,
শাস্তি, ক্ষমা, অশান্তি, নম্রতা, ঘৃণা ও রাগ,
এদের থেকেই জন্ম নিলো
অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ,
উপলব্ধি নিয়েই তো প্রাণের জগৎ,
উপলব্ধি হোলো প্রাণের নিজস্ব নিয়ম,
কখনো তা নীরবতায় নীরব,
কখনো তা উচ্চারণ, কখনো বিস্ফোরণ,
এ ভাবেই এগিয়ে চলে সভ্যতা,
সীমাহীন অতীত ধরা থাকলো
ইতিহাস নামক একটি শব্দে,
এও এক রহস্যময়তা,
এভাবেই এগিয়ে চলে সভ্যতা !
এর মধ্যে কী করে যেন
বেনোজলের মতো কী ভাবে ঢুকে পড়ে
শোষণ নামক একটি শব্দ,
কতটা স্পর্ধা তার, সে দাবি করে ---
আমি শেষ করে দেবো সভ্যতা,
মানুষকে করে দেবো লোভে ভ্রমে অন্ধ,
তারপর শুরু হলো সভ্যতার কান্না,
কে বাঁচাবে তাকে,
কেটে গেলো যুগ-যুগ সময়ের ধারাপাতে,
কিন্তু, গলায় মাছের কাঁটা লাগার মতো
অস্বস্থি থেকে গেলো সভ্যতায়,
দেশে-দেশে হয়ে চলে স্বাধীনতা-যুদ্ধ,
কিন্তু, আসল স্বাধীনতা কোথায় !
যে-স্বাধীনতা সমস্ত সভ্যতাকে দেবে
মুক্তির আলো, তৃপ্তির আকাশ,
আর সমতা,
তুমি হে মে দিবস, দিলে সেই স্বাধীনতা !
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন