রুমির কবিতা : মৃদুল শ্রীমানী

মৃদুল শ্রীমানী

রুমির কবিতা

মৃদুল শ্রীমানী



রুমি কবিতা লেখে। কবিসভায় গিয়ে গিয়ে তার একটু পরিচিতি তৈরি হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী  রুমি ক বছর আগে বিয়ে করেছিল। ছেলেটি কবিতা ভালবাসে শুনে বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে রক্ত পরীক্ষা করার কথা আর ভাবেই নি। বিয়ের পর জানল বরের রক্তে হিমোফিলিয়া অসুখ আছে। তার রক্ত জমাট বাঁধতে চায় না। আরো মুশকিল হল, বিয়ের আগে ছেলেটি বলেছিল, সে বিজ্ঞানী। কিন্তু বিয়ের পর জানা গেল এম এস সি পাশ ছেলেটি কলকাতা কর্পোরেশনের গাছ কাটার কাজ দেখাশুনা করে। তাও চুক্তিভিত্তিক নড়বড়ে চাকরি। বিয়ের তিনমাসের মধ‍্যেই নালিটি অফ ম‍্যারেজ এর মামলা আনল রুমি ফ‍্যামিলি কোর্টে। বিয়ে নাকচ হয়ে গেল। অনেক ঘুরে ঘুরে কোর্টের মহিলা রেকর্ড কীপারকে বেশ কিছু নজরানা দিয়ে তবেই রুমি আদালতের রায় হাতে পেল।

বিয়ে নাকচ হয়ে যেতে রুমি কোমর বেঁধে কবিতায় মন দিল। এবেলা কবিতা, ওবেলা কবিতা। এদিকে পৈতৃক বাড়ির ভাগ পাবেন বলে তার পিসি জেদ ধরেছেন। রুমি জানতে চাইল, পিসিকে বাড়ির ভাগ কেন দেব? তার তো শ্বশুরবাড়ির কোনো অভাব নেই। বলতে হল, তোমার পিসিকে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে অংশীদার করেছেন ভারতীয় আইন। তুমি ভাগ দেবার কেউ নও। পিসি তার বাবার কন‍্যা হিসেবে দাদাদের সাথে একই সম্মানে সমান ভাগ পাবেন। শিক্ষাকর্মী রুমি বলল, জমির এমন কোনও আইন নেই, যাতে করে বলা যায়, পিসি সম্পত্তি পাবে না?

রুমিকে বললাম, পিসির কাছে যাও, ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলে দ‍্যাখো তিনি যদি তোমাদের দান করেন।

রুমি বলল, ওর দান আমরা নেব কেন? আপনি একটা ভাল উকিল দেখে দিন। পিসিকে আমি কেসে কেসে হয়রাণ করে দেব।

রুমি কবিতা লেখে!

Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.