আলো-মানব ডাক্তার-নার্স -সমাজসেবী : ঋদেনদিক মিত্রো

ঋদেনদিক মিত্রো

আলো-মানব ডাক্তার-নার্স -সমাজসেবী 

ঋদেনদিক মিত্রো

দিকে-দিকে তোমরা শেষ কথা, 
পথে প্রান্তরে,  দিগদিগন্তে দূরে ---
যেন,  অন্ধকারে তোমাদের
   রোশনাই হয়ে ---- জ্বলে ওঠা, 
দিকে-দিকে তোমরা শেষ কথা !

অন্ধকারে এতো আলো, 
এতো ভুলে এতো ভালো 
     ছিলো লুকিয়ে !
যেন  ঝড়-বৃষ্টি হয়ে 
নেমেছো মাটির 'পরে... 
      খরাতে যে মাটি ছিলো শুকিয়ে !   
তোমাদের নেই কোনো মৃত্যুর ভয়, 
সাহস কী বিস্ময় ! 
         আধুনিক শব্দেতে 
          তোমাদের বলে থাকি, 
                ডাক্তার-নার্স, 
তোমরা ই আছো বলে 
 মৃত্যুকে দুয়ো বলে 
     সকল জীবের বহে
                   আশা-ভরা শ্বাস ! 

কিংবা আবার যারা 
 সমাজসেবীর  রূপে 
     দুর্যোগে আসো কাছে-কাছে,
 সব ভয় সরিয়ে 
 কী কঠিন শ্রম  দিয়ে 
     ঢুকে পড়ো  অলিগলি
                  আনাচে কানাচে ! 

 কেবল মানুষ নয়,
    পশু,  পাখি,  কীট,  

তোমাদের উপস্থিতি বুঝে তারা 
        আনন্দে নাচে !

তোমরা সবাই বোঝো 
    সকল জীবের সব ভাষা, 
তোমরাই জানো শুধু 
    কাকে বলে ঠিক ভালোবাসা, 
 ভালোবাসা মানে হলো বিশ্বের স্পন্দনে 
    মিশে যেতে পারা , 

 বিউগল কিংবা শঙ্খ-ধ্বনির মতো
   তোমাদের উপস্থিতি 
    দিকে-দিকে তাই ফেলে সাড়া !

বলো, সকলেই,  তোমরা কারা ! 
  আমরা পারিনা কেন এভাবে !
       মনে-মনে প্রশ্ন জাগে !
ঈশ্বর মানে নাকি
   দুর্যোগ থেকে যিনি
       সবারে বাঁচান, 
তোমরাই তবে তাঁর দূত !
      তোমাদের হাতে আছে
 জীব জগতের সব আশা আর  সুখ ! 

সেবার কর্মে হয়ে সম্মিলিত,
তোমরা কখনো বা
     মৃত্যুর কাছে হও সমর্পিত,
       মৃত্যু-ভয়ের কাছে নয়, 
তাই তো  তোমরা হলে
             মানুষের মাঝে শ্রেষ্ঠ, 
          আমাদের কাছে বিস্ময় ! 

আমাদের চোখগুলো কান্নায়  ভাসে, 
  অবাক বিস্ময়ে মাথা নত হয়ে আসে,
    কোনোও বিপদে  সন্ত্রাসে---
তোমরা কেমন থাকো স্থির, 
   তোমরা বীরাঙ্গনা,  তোমরাই বীর, 
 নয় কোনো দেশ জাতি,  বা ধর্ম, 
 তোমরা সভ্যতার শান্তির জন্য 
       মৃত্যুঞ্জয়ী সৈনিক, 
 তোমাদের জীবনটা শ্রেষ্ঠ সাহিত্য,
            শিল্প ও সংগীত !

কোনোও দেশের পরিচয়ে
   তোমাদের নেই কোনো পরিচয়, 
       কী অদ্ভুত !
   তোমরা হেঁটে গেলে  সীমানার কাঁটাতার 
     জানায় স্যালুট,
  সরে যায় তার স্পর্ধা, 
বাধাহীন ভাবে তোমরা হেঁটে চলো,  
    সীমান্তের প্রাচীর ও কাঁটাতার 
     তোমাদের করে এতো শ্রদ্ধা !

     আমিও জানাই স্যালুট ! 
   
কোনও অস্ত্র বা কুটিলতা দিয়ে 
    হিংসাকে বিজয়ের দূত বানিয়ে, 
      পৃথিবীতে কোনো দিন
             কারো হলে জয়, 
তোমরা হতে না তবে
   এতো সুন্দর ব'লে  গ্রাহ্য, নিশ্চয়!
তোমরা দিচ্ছ মেধা,  শ্রম,  আর প্রাণ, 
 গৃহের সকল সুখ আর মায়া ফেলে....
            পৃথিবীর হয়ে বলীদান, 
মুখেতে আতঙ্ক নেই,  শুধু  আছে হাসি !
কী আছে গো তোমাদের এ মানব-দেহে !
খুশির সূর্যে যেন কৃষ্ণচূড়া ঝরে রাশি-রাশি !

মুখেতে আতঙ্ক নেই,  আছে শুধু হাসি !

কী বা দিতে পারি বলো
     বিনিময়ে তোমাদের,
         সকল আদর্শের চেয়ে যারাই মহান, 
চোখে এনে কান্নার ঝড়---
     নিঃস্ব তুচ্ছ আমি 
তোমাদের জানালাম নিঃস্ব -প্রণাম!
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.